বিস্তারিত জানতে এখান ক্লিক করুণঃ
এক নজরে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন রেজিষ্ট্রাট-
বর্তমানে অত্র পরিষদে ০৮টি জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রার রয়েছে। এর মধ্যে জুন ২০১৩ইং পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধনের সংখ্যা ৩০,৭৪৪ জন। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সংখ্যা ১৯,৫২৬ জন। বাকী পর্যাক্রমে অনলাইনে লিপিবদ্ধ করা হবে।
চালু পর থেকেই হাতে লিখা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হত। তাই উক্ত সনদের সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হত না। বর্তমানে সরকার এই সমস্যা দূর এবং আরো বেশী কার্যাকর করার নিমিত্তে ২০১১ইং হতে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চালু হয় এবং হাতে লিখা বাদ দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন করা এবং জন্ম সনদ প্রদান করা হচ্ছে। নিম্নের ঠিকানায় জন্ম সনদ যাচাই এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সাইডঃ http://br.lgd.gov.bd
পঠভূমিঃ
১৮৭৩ সালের ২রা জুলাই তদানীন্তন বৃটিশ সরকার অবিভক্ত বাংলায় জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আইন জারী করে। কালের পরিক্রমায় ১১৮ বৎসরে ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও সেই সঙ্গে আইনের নানান পরিবর্তন সত্ত্বেও দেশের তাবৎ মানুষ জন্ম নিবন্ধনের আওতায় না আসায় ২০০১-২০০৬ সালে ইউনিসেফ-বাংলাদেশ এর সহায়তায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২৮টি জেলায় ও ৪টি সিটি কর্পোরেশনে জন্ম নিবন্ধনের কাজ নতুনভাবে আরম্ভ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৭৩ সালের আইন রদ ও রহিত করে সরকার ২০০৪ সনের ৭ ডিসেম্বর ২৯ নং আইন অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ প্রবর্তন করে। আইনটি ২০০৬ সালের ৩ জুলাই হতে কার্যকর হয়। ২০০১-২০০৬ সালের পাইলট প্রকল্পের শেষে প্রকল্পটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্প (২য় পর্যায়) নামে ২০০৭ সালে আরম্ভ হয়ে জুন ২০১২ সালে শেষ হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির ৩য় পর্যায়ের কার্যক্রম জুলাই ২০১২ থেকে শুরু হয়ে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পটির আর্থিক সহায়তাকারী সংস্থা ইউনিসেফ-বাংলাদেশ। প্রকল্পটির বিপরীতে মোট বরাদ্দ ১৮০০.০০ লক্ষ টাকা; তন্মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অংশ ১১০০.০০ লক্ষ টাকা (জন্ম নিবন্ধক কার্যালয়সমূহের আদায়কৃত জন্ম নিবন্ধন ফিস হতে ১০০০ লক্ষ টাকা ম্যানুয়াল বই হতে অনলাইনে এন্ট্রির ব্যয় নির্বাহসহ) ও প্রকল্প সাহায্য ৭০০.০০ লক্ষ টাকা। সারাদেশে ১৫কোটির অধিক লোকের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও ৩৬টি দূতাবাসে বর্তমানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কাজ চলছে। Real Time BR Data লিঙ্ক-এ যেয়ে দেশের তাৎক্ষণিক অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সংখ্যা দেখা যাবে।
জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।
ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি ও বয়স নির্ধারণের জন্য এবং রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য জন্ম নিবন্ধন জরুরী। ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিবাহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রকৃত বয়স জানা অপরিহার্য, আর এই অপরিহার্যতা মিটাতেই প্রয়োজন জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্নকরণ।
৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ এর পর থেকে নিম্নোক্ত সেবাসমূহ পেতে হলে একজন নাগরিককে তাঁর জন্ম সনদ দেখানোর আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে:
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনমূলে:
(ক) পাসপোট ইস্যু;
(খ) বিবাহ নিবন্ধন;
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্ত্তি;
(ঘ) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান;
(ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু;
(চ) ভোটার তালিকা প্রণয়ন;
(ছ) জমি রেজিস্ট্রেশন;
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালাসমূহমূলে:
(জ) ব্যাংক হিসাব খোলা;
(ঝ) আমদানী ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি;
(ঞ) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি;
(ট) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি;
(ঠ) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি;
(ড) বাড়ির নক্সার অনুমোদন প্রাপ্তি;
(ঢ) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তি;
(ণ) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও
(ত) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
শিশুর পিতা বা মাতা বা অভিভাবক শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।
এছাড়া নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন:
নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।
জন্ম নিবন্ধনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে (ছাপানো বা হাতে লিখা হলেও চলবে) নিবন্ধকের নিকট নিম্নে বর্ণিত দলিল বা প্রত্যয়নসহ আবেদন করতে হবে।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মের পাঁচ বৎসরের মধ্যে আবেদন করা হলে-
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মের পাঁচ বৎসর পরে আবেদন করা হলে-
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS